গোপালভোগ আমের বৈশিষ্ট্য:
- আকার ও আকৃতি: এই আম মাঝারি আকারের এবং কিছুটা লম্বাটে গোলাকার হয়ে থাকে। এর গড় ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।
- ত্বক: গোপালভোগ আমের ত্বক মসৃণ এবং আকর্ষণীয় হলুদ রঙের হয়ে থাকে। অনেক সময় পাকলে হালকা লালচে আভা দেখা যায়। খোসা তুলনামূলকভাবে একটু পুরু।
- বোঁটা: আমের বোঁটা বেশ শক্ত হয়, যা ঝড়ো বাতাসে আম পড়াকে কিছুটা প্রতিরোধ করে। পাকা শুরু হলে বোঁটার অংশ হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
- আঁশবিহীন: এই আমের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর মাংসল অংশ আঁশবিহীন এবং রসালো।
- মাংসল অংশ: পাকা গোপালভোগের ভেতরের মাংস কমলা-হলুদ রঙের এবং অত্যন্ত মিষ্টি হয়ে থাকে। এর মিষ্টিতা অন্যান্য অনেক আমের চেয়ে বেশি।
- স্বাদ ও গন্ধ: গোপালভোগ আম তার মিষ্টি স্বাদ এবং তীব্র, মন মুগ্ধকর সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত। এই আমের গন্ধ এতটাই আকর্ষণীয় যে পাকা আম গাছ থেকে পাড়ার আগেই এর সুবাস পাওয়া যায়।
- বীজ: এই আমের বীজ পাতলা হয়ে থাকে।
- উৎপাদন ও প্রাপ্যতা:
- গোপালভোগ আমের প্রধান উৎপাদন ক্ষেত্র হলো রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর। তবে, রাজশাহীর গোপালভোগ আমের মান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- এটি একটি আগাম জাতের আম এবং সাধারণত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যেতে শুরু করে এবং জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে। এর সংরক্ষণকাল খুব বেশি না, তাই তোলার পর ৩-৪ দিনের মধ্যেই এটি খেয়ে নেওয়া ভালো।