রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিআই সনদ প্রাপ্ত খিরসাপাত/হিমসাগর আম দুটি আসলে একই আমের দুটি ভিন্ন নাম। এই আমটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উভয় অঞ্চলেই অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এর ভৌগোলিক স্বীকৃতি (GI) রয়েছে।
খিরসাপাত/হিমসাগর আমের বৈশিষ্ট্য:
- আকার ও আকৃতি: এই আম মাঝারি আকারের এবং গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে। লম্বায় প্রায় ৮ সেমি এবং প্রস্থে ৭ সেমি পর্যন্ত হতে পারে।
- ওজন: প্রতিটি আমের ওজন সাধারণত ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
- ত্বক: আমের ত্বক মসৃণ এবং পাকা অবস্থায় এর উপরের অংশ হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তবে, সম্পূর্ণরূপে পাকলেও কিছু অংশে হালকা সবুজ আভা থাকতে পারে।
- বোঁটা: আমের বোঁটা বেশ পুরু এবং শক্ত হয়।
- আঁশবিহীন: এই আমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর মাংসল অংশ সম্পূর্ণ আঁশবিহীন।
- মাংসল অংশ: পাকা আমের ভেতরের মাংস হলুদ বর্ণের এবং অত্যন্ত রসালো হয়।
- স্বাদ ও গন্ধ: খিরসাপাত/হিমসাগর আম তার মিষ্টি স্বাদ এবং আকর্ষণীয় সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত। এর মিষ্টিতা গড়ে ২৩% পর্যন্ত হতে পারে।
- বীজ: আমের বীজ পাতলা হয়, যার ফলে মাংসল অংশ বেশি পাওয়া যায়।
- উৎপাদন ও প্রাপ্যতা:
- এই আম প্রধানত রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় উৎপাদিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম বাংলাদেশের তৃতীয় জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
- এছাড়াও, ভারতের মালদা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়।
- সাধারণত গ্রীষ্মের শুরু থেকে এই আম পাকতে শুরু করে এবং জুনের ৭ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত এর peak season থাকে।
- ফল তোলার পর এই আম ৬ থেকে ৮ দিন পর্যন্ত ঘরে সংরক্ষণ করা যায়।